প্রায় ১৯ বছর কাজ করছি পুষ্টি বিষয় নিয়ে। রোগীর ডায়েট ম্যানেজমেন্টের একটি বড় গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে কাউন্সেলিং। এই সুবাদে জীবনে অনেক রোগী ও তাদের পরিবারের সাথে কথা বলার সুযোগ হয়।
প্রায় ১৯ বছর কাজ করছি পুষ্টি বিষয় নিয়ে। রোগীর ডায়েট ম্যানেজমেন্টের একটি বড় গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে কাউন্সেলিং। এই সুবাদে জীবনে অনেক রোগী ও তাদের পরিবারের সাথে কথা বলার সুযোগ হয়।
২০১২ সালে একজন কিডনি রোগী তার পথ্য পরামর্শ নিতে আমার কাছে আসেন। তার সাথে তার ছেলে, ছেলের বউ, স্ত্রী ও মেয়ে ছিল। তার কিডনি রোগ স্টেজ ৩—এ ছিল। আমি তাকে পুরো ডায়েট বুঝিয়ে দিলাম, তার পরিবারের সবার সব প্রশ্নের উত্তর দিলাম। একেবারে শেষে যখন চলে যাবেন তিনি, আমার দিকে খুব মায়া দৃষ্টিতে বললেন, ‘মা, একসময় টাকার অভাব ছিল খুব, ভালোমতো খেতে পারিনি। এখন আল্লাহ অনেক টাকা দিয়েছেন, কিন্তু খাওয়া তুমি সব বন্ধ করে দিলে।’ কথাটা আমি আজও ভুলিনি। এর পর থেকেই ঠিক করেছিলাম কিছু একটি করব।
আমি ভালো রান্না পারি না। তার পরও শ্রদ্ধেয় সিদ্দিকা কবীর ম্যাডামের বই কিনে রান্না প্র্যাকটিস করলাম, আমার মায়ের কাছে হাতে—কলমে রান্না শেখার চেষ্টা করলাম। আমার মা সিদ্দিকা কবীর ম্যাডামের সরাসরি ছাত্রী ছিলেন। অনেক ভালো রান্না করেন। এভাবে বিভিন্ন রেসিপি পর্যালোচনা করলাম। সিদ্ধান্ত নিলাম বই লিখব।
একজন কিডনি রোগীর খাবারে পানি থেকে শুরু করে সব উপাদানেই রেস্ট্রিকশন থাকে। সেখান থেকে মজাদার খাবার খাওয়া একেবারে কঠিন হয়ে পড়ে। একজন কিডনি রোগী তার ডায়টেশিয়ানের পরামর্শমতে সবসময় বাসার সাধারণ রান্নাই খাবেন। কিন্তু কখনো কখনো যখন খুব বিরক্তি আসবে তখন আমার এ বই দেখে তার বরাদ্দের খাদ্য উপাদান দিয়ে একটু মুখরোচক খাবার খেতে পারবেন। আশা করি মাঝেমধ্যে রুচির পরিবর্তন করতে বইটি তাদের সাহায্য করবে।
প্রায় ১৯ বছর কাজ করছি পুষ্টি বিষয় নিয়ে। রোগীর ডায়েট ম্যানেজমেন্টের একটি বড় গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে কাউন্সেলিং। এই সুবাদে জীবনে অনেক রোগী ও তাদের পরিবারের সাথে কথা বলার সুযোগ হয়।
By তামান্না চৌধুরী
Category: স্বাস্থ্য ও পুষ্টি
প্রায় ১৯ বছর কাজ করছি পুষ্টি বিষয় নিয়ে। রোগীর ডায়েট ম্যানেজমেন্টের একটি বড় গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে কাউন্সেলিং। এই সুবাদে জীবনে অনেক রোগী ও তাদের পরিবারের সাথে কথা বলার সুযোগ হয়।
২০১২ সালে একজন কিডনি রোগী তার পথ্য পরামর্শ নিতে আমার কাছে আসেন। তার সাথে তার ছেলে, ছেলের বউ, স্ত্রী ও মেয়ে ছিল। তার কিডনি রোগ স্টেজ ৩—এ ছিল। আমি তাকে পুরো ডায়েট বুঝিয়ে দিলাম, তার পরিবারের সবার সব প্রশ্নের উত্তর দিলাম। একেবারে শেষে যখন চলে যাবেন তিনি, আমার দিকে খুব মায়া দৃষ্টিতে বললেন, ‘মা, একসময় টাকার অভাব ছিল খুব, ভালোমতো খেতে পারিনি। এখন আল্লাহ অনেক টাকা দিয়েছেন, কিন্তু খাওয়া তুমি সব বন্ধ করে দিলে।’ কথাটা আমি আজও ভুলিনি। এর পর থেকেই ঠিক করেছিলাম কিছু একটি করব।
আমি ভালো রান্না পারি না। তার পরও শ্রদ্ধেয় সিদ্দিকা কবীর ম্যাডামের বই কিনে রান্না প্র্যাকটিস করলাম, আমার মায়ের কাছে হাতে—কলমে রান্না শেখার চেষ্টা করলাম। আমার মা সিদ্দিকা কবীর ম্যাডামের সরাসরি ছাত্রী ছিলেন। অনেক ভালো রান্না করেন। এভাবে বিভিন্ন রেসিপি পর্যালোচনা করলাম। সিদ্ধান্ত নিলাম বই লিখব।
একজন কিডনি রোগীর খাবারে পানি থেকে শুরু করে সব উপাদানেই রেস্ট্রিকশন থাকে। সেখান থেকে মজাদার খাবার খাওয়া একেবারে কঠিন হয়ে পড়ে। একজন কিডনি রোগী তার ডায়টেশিয়ানের পরামর্শমতে সবসময় বাসার সাধারণ রান্নাই খাবেন। কিন্তু কখনো কখনো যখন খুব বিরক্তি আসবে তখন আমার এ বই দেখে তার বরাদ্দের খাদ্য উপাদান দিয়ে একটু মুখরোচক খাবার খেতে পারবেন। আশা করি মাঝেমধ্যে রুচির পরিবর্তন করতে বইটি তাদের সাহায্য করবে।